শাপলা অভিযানে মারণাস্ত্র ব্যবহার হয়নি |

সাদ সম্মেলনে বিজিবি এবং র্যাবের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। শাপলা অভিযানে এ দুই বাহিনীও অংশ নেয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, হেফাজতে ইসলামকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছিল। তারা তা না করে রাতে ও অবস্থান নেয়। হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে লালবাগ থেকে সমাবেশ স্থলে নেয়ার বারবার চেষ্টা করা হয়। বারবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি নিরাপত্তার কথা বলে সেখানে যাননি। সন্ধ্যায় পুলিশের নিরাপত্তায়, পুলিশের গাড়িতে করে তাকে মতিঝিলে নেয়ার পথে পলাশী থেকে তিনি আবার ফিরে যান।
তিনি দাবি করেন, পুলিশ সদস্যদের পুড়িয়ে মারার জন্য হেফাজত কর্মীরা পুলিশ ক্যাম্পে বাইরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে একজন পুলিশ সদস্য অগ্নিদগ্ধ হন। মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় স্থাপিত পুলিশের ৬৯ টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে হেফাজতের কর্মীরা। তারা ৩০ লাখ টাকাও লুট করে। বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং সোনার মার্কেট আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শাপলা অভিযানের মৃত্যুর বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযানে যেসব অস্ত্র ও উপকরণ ব্যবহার হয়েছে তা মারণাস্ত্র নয়। এগুলো প্রাণঘাতী নয়। যে কোন ধরনের বিক্ষোভ দমনে সারা বিশ্বে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফটোশপের মাধ্যমে অনেক ছবি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ওই এলাকায় অভিযান শেষে হেফাজতের মঞ্চের কাছ থেকে চার জানের লাশ কাপড় ও পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই এলাকায় আরও তিন জনের লাশ পরে পাওয়া যায়। ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ মোট ১১ জনের লাশ পাওয়া যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হেফাজতের বহু হতাহতের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এ তালিকা কোথায় পেলেন? তাদের কাছে যদি এ ধরনের কোন তালিকা থাকে তাহলে তা প্রকাশ করেন না কেন? তিনি বলেন, সাভারে যারা মারা গেছেন এবং নিখোঁজ তাদের স্বজনরা সেখানে ভিড় করছেন। এখানে হতাহতের ঘটনা ঘটলে তাদের স্বজনরাওতো এভাবে সন্ধান করতেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন